লেবু ও মধুর ব্যবহার : লেবু ও মধুর সংমিশ্রণ মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য এক টেবিল-চামচ মধু, দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে তিন মিনিট ফোটাতে হবে। ধীরে ধীরে মিশ্রণটি নাড়তে থাকতে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, তবে পানি দিয়ে পাতলা করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার ঠান্ডা হওয়ার পর অবাঞ্ছিত লোমের অংশে লাগাতে হবে। এটি প্রাকৃতিক ‘ওয়াক্স’ হিসেবে কাজ করে। তাই ওয়াক্স স্ট্রিপ দিয়ে লোম ওঠার বিপরীতে এই পদ্ধতি মেনে চলুন।
ওটস এবং কলার ব্যবহার : প্রাকৃতিকভাবে মুখের অবাঞ্ছিত লোম তোলার জন্য ওটস এবং কলার ব্যবহার করতে পারেন। এটিও বেশ কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এর জন্য দুই টেবিল-চামচ ওটস ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিতে হবে। এটি ‘এক্সফলিয়েন্ট’ হিসেবেও ভালো কাজ করবে। এর সঙ্গে একটি পাকা কলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট বৃত্তাকার আকারে মালিশ করার পর দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন । এতে অল্প সময়ের মধ্যেই পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।
ডিমের সাদা অংশ ও চালের আটার ব্যবহার: ডিমের ব্যবহারেও অবাঞ্ছিত লোম উঠে যেতে পারে। এরজন্য একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল-চামচ চিনি ও আধা চা-চামচ চালের আটা মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটিকে অবাঞ্ছিত লোমের অংশে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট শুকানোর জন্য রেখে দিন। এরপর লোম ওঠার বিপরীত দিকে শুকিয়ে যাওয়া মিশ্রণটা ধীরে টেনে তুলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে মুখ। সপ্তাহে একবার ব্যবহারেই ফল পাবেন।
এছাড়াও মুখের লোম দূর করতে জেলটিন পাউডার এবং দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এই দুটি জিনিস থেকেই মাস্ক তৈরি করা যায়। একটি পাত্রে দুই চামচ জেলটিন পাউডারে দুধ ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এখন বাটিটি মাইক্রোওয়েভে ২০ মিনিটের জন্য রাখুন। ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভাল মাস্ক রেডি। মাস্ক ব্যবহারের আগে মুখ পরিষ্কার করুন। মাস্ক শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন, আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে মুখে ফিটকিরি ও লেবুর রস ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। ফিটকিরি ব্যবহারে ত্বকে চুলকানি, লালচেভাব এবং জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।